একটা রঙিন উজ্জ্বল বিস্ফোরণ থেকে
ছিটকে পড়ে যাচ্ছিলো ক্ষুদ্র কিছু কণা ।
যারা একসঙ্গে হয়ে এখন আমাদের সূর্যের সামনে দাঁড়াতে ভয় পায় ।
অথচ আমাদের সূর্য জানে,
তার থেকেও বড় এবং বেশি উষ্ণ নক্ষত্র
যখন নীল হয়ে জ্বলছিলো
তখন আমরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম সেই সুপারনোভার ভেতর;
ঘুরতে ঘুরতে ছিটকে বেরিয়ে পড়ার সময় কি বুঝতে পেরেছিলাম ?
একদিন এই সবুজ ঘাসের নীচের শেকড় দিয়ে আমরা মাটি কামড়ে বসে থাকবো !
আমরা চলে আসবো সাগরের গভীরে,
কোন একটা প্রবাল হয়ে
অথবা শিকার খুঁজতে থাকা একটা হাঙর হয়ে ?
আমাদের কি তখন ইচ্ছে করেছিলো ইলেকট্রিক ঈল হয়ে
শত্রুকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মেরে ফেলার ?
যা এখনো চেষ্টা করেও আমরা পারিনি !
আমাদের বাবা-মা যখন আমাদের এই পৃথিবীতে নিয়ে আসার জন্য
প্রস্তুত হচ্ছিলেন
তখনও আমরা যে তাদের ঘরের একটা মাকড়সা
অথবা ছোট্ট কালো কিংবা লাল পিঁপড়া হয়ে ঘুরে বেড়াবো,
সেই নীল তারা বোধহয় জ্বলে পুড়ে উঠার আগ মুহূর্তে সেটা জানতো ।
হয়তো সে জানতো আজকের এই মৃত নগরে
তারই দেহের অংশগুলো পুরতে থাকবে
আরো একটি বিস্ফোরণে ছাই হয়ে হয়ে যাবার পূর্ব পর্যন্ত ।
অথবা
এরপর আবারো চলে যাবো আমরা অন্য কোন সূর্যের কাছে,
আবারো বিস্ফোরণের আহ্বানে ।
আর এভাবে চলতে থাকবে অনন্তকাল ধরে ।
আমরা কি ঘুরে বেড়াচ্ছি সেই অন্ধকার গহ্বরে তলিয়ে যাবার জন্য?
পথ খুঁজে পাবার জন্য বারবার ফিরে আসছি,
একবার আমি হয়ে,
একবার আমার মা হয়ে,
ঠিক যেভাবে আমার বাবা চলে গেছেন
আবারো ফিরে আসবার জন্য একটা গাছ হয়ে
অথবা তুমি হয়ে ?
- মুক্তি
২৫শে এপ্রিল ২০২২
No comments:
Post a Comment